ই-পাসপোর্টে এসেছে যেসব পরিবর্তন

ই-পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত পাতায় (পারসোনাল ডেটা অ্যান্ড ইমার্জেন্সি কনটাক্ট) সম্প্রতি তিনটি সংশোধন এনেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

গত ৪ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে।

চলুন, ই-পাসপোর্টের এসব সংশোধনী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

স্বামী-স্ত্রীর নাম

ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের অংশটুকুতে পাসপোর্টধারীর নামের সঙ্গে উল্লেখ থাকে বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামী বা স্ত্রীর নাম (স্পাউসেস নেম) আর স্থায়ী ঠিকানা। এই অংশটিতে সংশোধন আনা হয়েছে।

কাতারের সব আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

“স্পাউসেস নেম” ঘরটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে ই-পাসপোর্টে যুক্ত হয়েছে “লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম” ঘর। এটি প্রযোজ্য হবে শুধু দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে।

তবে “লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম” অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে আইনত অভিভাবকের অনাপত্তি সনদ আর তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি প্রমাণপত্র হিসেবে পাসপোর্টের আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।

বিস্তারিত ঠিকানা

ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত অংশ দুটিতে “অ্যাড্রেস” বা ঠিকানার ঘর আছে। সেখানে পাসপোর্টধারীর স্থায়ী ঠিকানা যেমন উল্লেখ করতে হয়, তেমন জরুরি যোগাযোগের জন্য ব্যক্তি যাকে মনোনীত করেন, তারও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দরকার হয়। এত দিন প্রত্যেকের ঠিকানা দুই লাইনে ৪৮ শব্দের মধ্যে লিখতে হতো।

এতে অনেকের পুরো ঠিকানা সেখানে সংকুলান করা যেত না। তাই এখন থেকে তিন লাইনে বা ৯৬ শব্দে ঠিকানা লেখার সুযোগ রাখা হয়েছে।

কিউআর কোড

ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতায় জরুরি তথ্যের নিচে কিউআর কোড যুক্ত ছিল। কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে পাসপোর্টধারীর নাম ও যোগাযোগের নম্বর পাওয়া যেত। তবে, নতুন সংশোধনীতে কিউআর কোড বাদ দেওয়া হয়েছে ই-পাসপোর্ট থেকে।

আরো পড়ুন

DhakaTribune

Loading...
,