এক বছরে দেশে এলো ৪৫৫২ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ

দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি প্রবাসী আয়। প্রতিবছর গড়ে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার আসে এ খাত থেকে। তবে প্রতি বছরই প্রবাসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু বাড়ছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

গত বছর দেশে এসেছে ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ। এই হিসাবে গত বছর প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১২ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের হিসাবে প্রতি বছর এ সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঙ্ক্ষিত মজুরি না পাওয়া এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদরোগে মৃত্যু হচ্ছে শ্রমিকদের।

মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের হিসাবে, ২০১৯-২০-এ ৩ হাজার ১২৬, ২০২০-২১-এ ৩ হাজার ৭৫৭, ২০২১-২২-এ ৩ হাজার ৭৬২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে আসে ৪ হাজার ১০৭ রেমিট্যান্স যোদ্ধার মরদেহ।

কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

তবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মরদেহ এসেছে ৪ হাজার ৫৫২ জনের।

এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীর সংখ্যাই বেশি। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদরোগে।

প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ ও মজুরি না পাওয়ার মানসিক চাপকেই এর কারণ বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাশাপাশি রয়েছে বিরূপ পরিবেশ ও কাজে অদক্ষতার মতো বিষয়।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাসার বলেন, বিদেশগামীদের অধিকাংশই গরিব। তারা নানাভাবে ঋণ করে, কেউ সুদে টাকা নিয়ে বিদেশে যান।

কিন্তু সেই তুলনায় উপযুক্ত বেতন না পাওয়ায় মানসিক চাপ বেশি পড়ে তাদের ওপর। দুশ্চিন্তা গ্রাস করে তাদের। এ কারণেই বেশি মৃত্যু হয়।

আবুল বাসার বলেন, অনেকেই মনে করেন যে, ‘বিদেশে গেলেই একটা সোনার হরিণ ধরতে পারলেই আমরা রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাব। আসলে এই কথাটা সঠিক না।’

তবে মৃত্যুহার কমাতে কাজের পরিবেশ, বিদেশযাত্রার খরচ কমানো ও দক্ষকর্মী পাঠানোর ওপর জোর দিচ্ছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, প্রতি বছর প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার প্রবাসীর মরদেহ আসছে। তাদের থেকে স্যাম্পলিং করে মন্ত্রণালয়কে গবেষণা করে বের করতে হবে যে, কি কারণে আমাদের প্রবাসীরা মারা যাচ্ছে।

এদিকে কম খরচে কীভাবে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো যায়—তা নিয়ে সরকার আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সরকারি এবং কম খরচে যেন বিদেশে যাইতে পারে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করছি।’

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে বড় পরিসরে কর্মপরিকল্পনা চাইছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো পড়ুন-

Independent

Loading...
,