চট্টগ্রাম থেকে বিদেশে কর্মী যাওয়ার রেকর্ড
গত ১১ বছরে প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে চট্টগ্রামের চার লাখ ২২ হাজার ৩৪২ মানুষের। এর বাইরে ভ্রমণ ভিসায় গিয়েও অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে বিভিন্ন দেশে। তবে বিগত সময়ের তুলনায় গত দুই বছরে রেকর্ড সংখ্যক ব্যক্তির কর্মসংস্থান হয়েছে প্রবাসে।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী।
প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের জন্য বৃত্তিসহ নানা কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। একইভাবে প্রবাসী কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা সহায়তা, আর্থিক অনুদানসহ নানা সহযোগিতা।
চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে চট্টগ্রামের চার লাখ ২২ হাজার ৩৪২ বাসিন্দার।
কাতারের সব খবর সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
এর মধ্যে সৌদি আরবে এক লাখ তিন হাজার ৩৩৪ পুরুষ এবং দুই হাজার ৯১৪ নারীসহ এক লাখ ছয় হাজার ২৪৮ জনের, ওমানে এক লাখ ৫৩ হাজার ১৪৬ পুরুষ ও চার হাজার ৮১ নারীসহ এক লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জনের, কাতারে ৬২ হাজার ৮১৯ পুরুষ ও ৬৫৫ নারীসহ ৬৩ হাজার ৩৭৪ জনের এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ৪২১ পুরুষ ও এক হাজার ১৪৫ নারীসহ ৩১ হাজার ৫৬৬ জনের।
এছাড়া অন্যান্য দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে ৬৩ হাজার ৩৪৯ পুরুষ এবং ৬১১ নারীসহ ৬৩ হাজার ৯৬০ জনের। সবমিলিয়ে ১১ বছরে প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে চার লাখ ১২ হাজার ৯৩৬ পুরুষ এবং ৯ হাজার ৪০৬ নারীর।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রবাসে বৈধ কর্মীদের নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে সরকার। যে কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় গত দুই বছরে দ্বিগুণ কর্মীর প্রবাসে কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে বেড়েছে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ও প্রবাসী আয়।’
প্রবাসী কর্মীদের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, ‘এর মধ্যে রয়েছে বিদেশগামী কর্মীদের অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বিএমইটির ডিজিটাইজেশন, ডাটাবেজে নিবন্ধন, বায়োমেট্রিক ইমপ্রেশন, বিদেশগামী কর্মীদের ছাড়পত্র ও স্মার্টকার্ড প্রদান, প্রবাসীদের বিদেশগমন সংক্রান্ত সব তথ্য সহায়তা প্রদান, প্রবাসে কোনও কর্মী মারা গেলে মরদেহ পরিবহন ও দাফন বাবদ ৩৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর, মৃতের ওয়ারিশদের তিন লাখ টাকা অনুদান, বিদেশে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, বকেয়া বেতন ও ইনস্যুরেন্স বাবদ অর্থ আদায়ের জন্য ওয়ারিশদের সহায়তা করা এবং অর্থ আদায় করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া। এছাড়া প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।’
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রবাসীদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালে ৯ কোটি তিন লাখ, ২০২২ সালে ১৭ কোটি ২৮ লাখ, ২০২১ সালে ১২ কোটি তিন লাখ, ২০২০ সালে আট কোটি ২৮ লাখ, ২০১৯ সালে ৯ কোটি ৯৬ লাখ এবং ২০১৮ সালে ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছেন চট্টগ্রামের প্রবাসীরা।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
এর মধ্যে অসুস্থতার কারণে ২০২৩ সালে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা। একই বছর প্রবাসী কর্মীদের মেধাবী সন্তানরা শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রবাসী কর্মীদের প্রতিবন্ধী সন্তানরা ভাতা পেয়েছে দুই লাখ ৫২ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন-
BanglaTribune