প্রবাসীদের এনআইডি কার্ড: মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
Loading...
পাসপোর্টের জন্যই এনআইডি সেবায় ভোগান্তিতে পড়েন প্রবাসীরা
প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম সহজ করতে এবং মাঠপর্যায়ে সব অফিস থেকে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ লক্ষ্যে গত মে মাসে এনআইডি শাখা থেকে নতুন পরিপত্র জারি করা হয়। নন-পরিপত্র অনুযায়ী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের এনআইডি পেতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি সহজ করতে এবং মাঠপর্যায়ে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা দিতে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কাতারের সব আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
Loading...
নির্দেশনাগুলো হলো:
দ্য সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫১ দ্য বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেমপোরারি প্রভিশন) অর্ডার, ১৯৭২-এর বিধান অনুসারে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক, তাঁদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই।
এ আইন ও আদেশ অনুযায়ী আবেদনকারীর পিতা/মাতা অথবা দাদা-দাদির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র/ বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/অনলাইন জন্মসনদ/অনলাইন মৃত্যুসনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদের কপি দাখিল করতে হবে।
কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাকেও জাতীয় পরিচয় প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
দ্য বাংলাদেশ সিটিজেনশিপ (টেমপোরারি প্রভিশন) রুলস, ১৯৭৮-এর রুল ৪-এর বিধান অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।
কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে দেখুন চাকরির খবর
Loading...
বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার শর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, উক্ত বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম কর্তনের জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ সাত কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং দুই কার্য দিবসের মধ্যে ডেটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।
Loading...
প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ-সংক্রান্ত সব বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
Loading...