বিমানবন্দরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে: বেবিচক চেয়ারম্যান
Loading...
বিমানবন্দরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে: বেবিচক চেয়ারম্যান
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
প্রবাসীরা আসলে তাদের সম্মান করে স্যার সম্বোধন করছেন সেখানে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা। তারা প্রবাসী লাউঞ্জ থেকে নামমাত্র মূল্যে খাবারও খেতে পারছেন।
Loading...
রোববার (১৭ নভেম্বর) সিভিল এভিয়েশনের সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা যে সেবা পাচ্ছে এর আগে তা কখনও ছিল না। যাত্রীদের ফ্লাইট থেকে নামা থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের সর্বোচ্চ সেবাটাই দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সম্মানিত প্রবাসীদের জন্য পৃথক লাউঞ্জ করে দিয়েছি। এখানে তাদের স্যার বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। এ লাউঞ্জে প্রবাসীরা রেস্ট করা থেকে শুরু করে নামাজ পড়া, খাওয়া-দাওয়া, মহিলা যাত্রী ও তাদের শিশুদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
নামমাত্র মূল্যে তারা সেখান থেকে খাবার খেতে পারছেন। একজন যাত্রী বিমান থেকে বের হয়ে যেন মনে করেন- তার নিজ বাড়িতেই পৌঁছেছেন এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারা যেন কোনোভাবেই কষ্ট অনুভব করতে না পারেন, তার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছি।
Loading...
এর পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশন সদর দফতরেও ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সন্তানদের নিয়ে সেখানে রেখে সুন্দরভাবে অফিস করতে পারছেন।
তিনি বলেন, পূর্বে যাত্রীদের লাগেজ হারানো, কাটা এগুলো নিয়ে অভিযোগের শেষ ছিল না। প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটতো। যাত্রীরাও বিমানবন্দরে নেমে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন। কিন্তু এখন আর সেই আতঙ্ক নেই।
Loading...
আমরা লাগেজ কাটা, হারানো শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছি। বেল্ট থেকে লাগেজ আসতে আগে যেমন ঘণ্টা সময় পার হতো, এখন সর্বোচ্চ ২০/২৫ মিনিট সময় লাগে।
আমরা অনেকগুলো টেলিফোন বুথ করে দিয়েছি যেগুলো থেকে যাত্রীরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহজেই বের হয়ে যেতে পারেন।
Loading...
এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমানবন্দরে কর্মরত কোনো সংস্থার মধ্যেই কোনো ধরনের মনোমালিন্য নেই। যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখার কোনো সুযোগ নেই। এখানে সমষ্টিগত বা রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে এখানে যাত্রী ও ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়বে। শাহজালাল বিমানবন্দর হাবে পরিণত হবে। সেখানেও যাত্রীদের উন্নত সেবা পেতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
Loading...
আমরা সেভাবে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞ লোকবল নিয়োগ করব। সর্বোপরি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আমরা সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
Loading...