সিরিয়ার পাশে থাকার আশ্বাস জর্ডান ও কাতারের

Loading...

সিরিয়ার পাশে থাকার আশ্বাস জর্ডান ও কাতারের

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সিরিয়ার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সিরিয়ার বর্তমান শাসক আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। একই সঙ্গে কাতারও সিরিয়াকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে সাফাদি এসব কথা বলেন। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ভাইদের পাশে আছি, আপনারাও তাদের পাশে দাঁড়ান।’

Loading...

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দুই সপ্তাহ আগে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন প্রশাসনের সঙ্গে আঞ্চলিক নেতারা সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ থেকেই মূলত জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আল-জাজিরাকে সাফাদি বলেন, ‘আমরা আমাদের সিরিয়ার ভাইদের পাশে আছি। তাদের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আমাদের সহযোগিতা থাকবে। আমরা একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা সিরিয়া চাই- যা তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’

এদিকে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজ্যবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ আল-খুলাইফিও সিরিয়ায় পৌঁছেছেন। কাতার ১৩ বছর পর দামেস্কে তার দূতাবাস পুনরায় খুলেছে।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানান, আল-খুলাইফি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন এবং সিরিয়ার জনগণের প্রতি কাতারের সমর্থনের প্রতিফলন ঘটাবেন।

Loading...

সাফাদি জোর দিয়ে বলেছেন যে, সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জর্ডান এবং পুরো অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সিরিয়ার ৩৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। আমরা চাই এই সীমান্ত সন্ত্রাসী সংগঠন, মাদক এবং অস্ত্র পাচার থেকে মুক্ত থাকুক।’

Loading...

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটি সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। ইসরায়েলকে ১৯৭৪ সালের চুক্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে সরে আসতে হবে।’

আল-জাজিরার হাশেম আহেলবারা বলেন, ‘জর্ডানের সমর্থন আল-শারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে অনেক উপজাতীয় সংযোগ রয়েছে, যা দুই দেশের জন্য অর্থপূর্ণ।’

Loading...

সিরিয়ার নতুন শাসক আল-শারা আরব এবং পশ্চিমা কূটনীতিকদের স্বাগত জানাচ্ছেন এবং আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক স্বীকৃতি অর্জনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আল-শারা সৌদি আরব, তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

এদিকে ইরান সিরিয়ার সার্বভৌমত্বকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, দেশটি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়স্থল হওয়া উচিত নয়।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবল সিরিয়ার জনগণের।’

Loading...

দোহার হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতান বারাকাত আল-জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা সিরিয়া সফর করার পর আঞ্চলিক দেশগুলোও সিরিয়ার নতুন শাসনকে সমর্থন দিচ্ছে। সিরিয়ার জনগণের দীর্ঘ ভোগান্তির পর অঞ্চলটি স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করছে।’

খবরের কাগজ

Loading...

Loading