মেডিকেল টেস্টের ‘ফাঁদে’ দিশেহারা বিদেশগামী শ্রমিকরা, কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের?
Loading...

মেডিকেল টেস্টের ‘ফাঁদে’ দিশেহারা বিদেশগামী শ্রমিকরা, কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের?
দেশে মেডিকেল টেস্টের নামে পদে পদে হয়রানির শিকার হন অসংখ্য বিদেশগামী শ্রমিক। এতে সেন্টারগুলোও হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব ভোগান্তিতে নির্বিকার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে সরকারকে, ভাঙতে হবে সিন্ডিকেট।
প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় যেখানে দেশের অর্থনৈতিক ভিত শক্ত হয়, সেখানে মেডিকেল টেস্টের নামে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিদেশগামী শ্রমিকরা।
আরও আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের হোয়াটসঅ্যপে জয়েন করুন
Loading...
প্রবাসী শ্রমিকদের ভিসা চূড়ান্ত হলেই মেডিকেল টেস্টের প্রয়োজন হয়। আর এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েই নানা জটিলতায় পড়েন প্রবাসীরা। সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে এমনই অবস্থা দেখা যায় কাতার ভিসা কার্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, টেস্টের ফাঁদে ফেলে বারবার তাদের হয়রানি করা হয়। ৩ মাস মেয়াদের ভিসায় মেডিকেল টেস্ট করতেই শেষ হয়ে যায় সময়সীমা। কেউ কেউ দুই মাসে ১০ থেকে ১২ বারের বেশিও এসেছেন।
কারও কারও রিপোর্টে সমস্যা আছে বলা হলেও বাইরে মেডিকেল টেস্ট করে তেমন কিছু মেলেনি বলে দাবি অনেকের। এ বিষয়ে কাতার ভিসা সেন্টারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর পর দুদিন কথা বলতে গেলেও তারা বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
কাতার ভিসা সেন্টার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ভিসা সেন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বেশির ভাগ সেন্টারেই নেই মানুষ। কোনোটায় ঝুলানো তালা। সেবাপ্রত্যাশী গেলেই খোলা হয় তালা। অভিযোগ আছে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের ভিসা নিশ্চিত না হলেও মেডিকেল টেস্টের নামে প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু বেশ কিছু এজেন্সি।
যারা কাতারে চাকরি খুঁজছেন তাদের জন্য কিছু চাকরির খবর
Loading...
অভিযোগের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়েরও দায়সারা ভাব। মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলবেন না বলে জানান। বক্তব্য দিতে নারাজ সচিবও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসী ও মেডিকেল টেস্ট নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট। তাই সরকারের উচিত যথাযথ আইনের ব্যাবহার করে পর্যবেক্ষণ ও অভিযান পরিচালনা করা।এ বিষয়ে ওয়্যারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, প্রথমত, দেরি করে রিপোর্ট দিলে যে স্লটে ভিসাটা এসেছে, সেটা অন্য জায়গায় বিক্রি করতে পারে। আর দ্বিতীয় হচ্ছে যে একজন হয়তো টাকা দিয়ে অনেক দিন ধরে ঘুরছেন।
তাকে আরও কীভাবে ঘুরানো যায়, সেটার একটা বড় পদ্ধতি হচ্ছে মেডিকেল টেস্টের নামে ভয় দেখানো যে সেখানে গেলে অযোগ্য হয়ে যাবেন, টেস্টে অনেক সমস্যা আছে। তাই ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে হবে বলে ঘুরানো হয়। মেডিকেল টেস্টের জায়গাটাতেও সিন্ডিকেট কাজ করে। এজন্য টাস্কফোর্স করে বা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে অভিযান চালানো যায়।
Loading...
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে অন্যান্য দেশের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও বাংলাদেশে মেডিকেলসহ ভিসা প্রক্রিয়ায় পদে পদে ভোগান্তির কারণে সঠিক সময়ে যেতে পারছেন না অনেক।
আরও খবর
Loading...
