ফিফা আরব কাপ থেকে কাতারের বিদায়, শেষ আটে ফিলিস্তিন
Loading...

ফিফা আরব কাপ থেকে কাতারের বিদায়, শেষ আটে ফিলিস্তিন
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার ফিফা আরব কাপ আসর থেকে ছিটকে গেছে। এ-গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তিউনিসিয়ার কাছে তারা ৩-০ গোলে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরেছে কাতার।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিন সিরিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করে প্রথমবারের মতো আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
ঘরের মাঠে ফেভারিট হিসেবে খেলা কাতারকে গ্রুপ পর্ব থেকে এগিয়ে যেতে হলে, তিউনিসিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হতো। কিন্তু রোববার আল খোরের আল বেয়ত স্টেডিয়ামে ‘দ্য অ্যান্নাবি’ (কাতার দলের ডাকনাম) খুবই বাজেভাবে গেলে তিউনিসিয়ার কাছে যেনতেনভাবে হের যায়।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই কাতারের গোলরক্ষক মেশাল বারশামের ভুলের সুযোগ নিয়ে তিউনিসিয়ান মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আলী বেন রোমধানে বল জালে ঠেলে দেন।
Loading...
বিরতির আগে কাতার আর গোল হজম না করলেও, তাদের আক্রমণভাগ সমর্থকদের হতাশ করে। তারকা স্ট্রাইকার আকরাম আফিফের নেতৃত্বে ফরোয়ার্ডরা ৬০ শতাংশ বল পজিশন নিয়েও গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধে সেই ব্যর্থতার মূল্য দিতে হয়। ৬২ মিনিটে কর্নার থেকে ইয়াসিন মেরিয়াহ নিচু হেডে গোল করে তিউনিসিয়ার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
Loading...
এর কিছুক্ষণ পরেই তিউনিসিয়ার খেলোয়াড় সেইফেইডিন জাজিরি ফাউল করে মাঠ ছাড়লে তারা ১০ জনের দলে পরিণত হয়। তবে এই সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় কাতার।
ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে মার্কিংহীন মোহাম্মদ বেনালি কাতারের অর্ধে বল পেয়ে জোরালো শটে তৃতীয় গোলটি নিশ্চিত করেন। যদিও তিউনিসিয়ার জয় দ্রুতই হতাশায় পরিণত হয়, কারণ অন্য ম্যাচের ফলাফল অনুযায়ী এই দুই দলই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অসাধারণ অর্জন
অন্যদিকে আল রায়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফিলিস্তিন ও সিরিয়া গোলশূন্য ড্র করে শেষ আটে তাদের জায়গা নিশ্চিত করে।
আরব আঞ্চলের ফুটবলে ‘ফিদাই’ নামে পরিচিতি ফিলিস্তিন আসরের প্রথম ম্যাচেই ফেভারিট কাতারকে আত্মঘাতী গোলে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলো। দ্বিতীয় ম্যাচেও তারা তিউনিসিয়ার কাছে ২-০ তে পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ফিরে এসে ড্র করে।
Loading...
সিরিয়াও তাদের প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়াকে ১-০ তে হারিয়েছিলো এবং ফিলিস্তিনের সাথে পয়েন্ট ও গোল পার্থক্যে সমানে ছিল। শেষ গ্রুপ ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে উভয় দলেরই এক পয়েন্ট দরকার ছিল। চূড়ান্ত বাঁশি বাজার পর দুই দলের খেলোয়াড়রাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ফিলিস্তিনি দল পতাকা, কেফিয়েহ নিয়ে তাদের সমর্থকদের সাথে উল্লাস করে। সিরিয়ার খেলোয়াড়রাও একই রকম আবেগপ্রবণ হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
Loading...
গাজায় জন্ম নেয়া ডিফেন্ডার মোহাম্মদ সালেহসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি খেলোয়াড় উভয় দেশের পতাকা দুলিয়ে তাদের উদযাপন চালিয়ে যান।
এই ফলাফলগুলো শুধু চমকপ্রদ নয়, কারণ ফিলিস্তিন ও সিরিয়া উভয়ই যুদ্ধের প্রভাবে বিপর্যস্ত। বিশ্ব ফুটবলের মানদণ্ডে দলগুলোর অবস্থান বিবেচনা করলেও এই সাফল্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ফিলিস্তিন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৯৬তম স্থানে রয়েছে, যা কাতারের চেয়ে ৪৫ ধাপ পেছনে। সিরিয়া ৮৭তম স্থানে রয়েছে।
Loading...
আফ্রিকা মহাদেশের ষষ্ঠ সেরা দল তিউনিসিয়া বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৪০তম স্থানে ছিল। কাতার ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ছয় আরব দলের মধ্যে অন্যতম।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিন বা সিরিয়া কেউই কখনো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি। তবে আপাতত, তাদের ভক্তরা এই বিষয়ে মাথা ঘামাবেন না, কারণ তাদের দলগুলো আরব কাপে ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে।
Loading...






