শাহজালাল বিমানবন্দরে মান বেড়েছে যাত্রীসেবার, সন্তুষ্ট প্রবাসীরা

Loading...

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে মানুষকে ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে প্রশংসা করে পোস্ট দিতে দেখা গেছে। ফ্লাইট থেকে নামার পর দ্রুতই পেয়ে যাচ্ছেন লাগেজ।

কাতারের সব আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে

Loading...

কাতার এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নিউ ইয়র্ক থেকে আসা যাত্রী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিমানবন্দরে নাটকীয় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি।

আগে আমাদের লাগেজ পেতে ও ইমিগ্রেশন শেষ করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে।’

সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে আসা আবুল কাশেম বলেন, ‘ইমিগ্রেশন বিভাগ ও বিমানবন্দরের অন্য কর্মকর্তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে।’

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে দেখুন চাকরির খবর

Loading...

এখন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০-১৩০টি উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করে।

প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। এ হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরো এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে স্ব্যচ্ছন্দ্যে তাঁদের লাগেজ পান, সে বিষয়টি নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।

কাতারে রিয়াল রেট ও স্বর্ণের দাম দেখে নিন

Loading...

তিনি জানান, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নতুন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তাঁরা সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিতের চেষ্টা করছেন। মঞ্জুর কবীর ১৮ আগস্ট নিয়োগ পেয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে সমন্বয় করছেন। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিমান। বিমানবন্দরের সব কর্মী এখন দিনভর ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সেবার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ যাত্রী তাঁদের লাগেজ পেয়ে যাচ্ছেন এবং বাকিদের ক্ষেত্রেও আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’

Loading...

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শাহজালাল বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তাদের রদবদল করা হয়। মূলত তখন থেকেই বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা বাড়তে থাকে। এখন এই ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বেবিচক কর্মীরা।

বেবিচক চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত আগস্ট থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবায় যে পরিবর্তন লেগেছে, তা যেন অব্যাহত থাকে সে জন্য প্রায় প্রতিদিনই বিমানবন্দর পরিদর্শন করি। বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলি, যাতে তাঁরা যাত্রীদের পর্যাপ্ত সেবা দেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিমানবন্দরের সেবায় প্রায় সব যাত্রী সন্তুষ্ট। এখন শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিশ্বমানের সেবা পাবেন যাত্রীরা।’

Loading...

শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। এখন দেশের যে কেউ কল সেন্টারে (০৯৬১৪-০১৩৬০০) যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারছেন।

আর পোর্টালে কাস্টমস ডিউটি অফিসারদের নামের তালিকা, ইমিগ্রেশন পুলিশের সেবা, নিরাপত্তা সেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার তথ্য, হুইলচেয়ার সেবা, ব্যাংকিং ও মানি এক্সচেঞ্জ সেবা, জরুরি প্রয়োজনে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সব কর্মকর্তার ফোন নম্বর, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেবা, কোন উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থার কোন উড়োজাহাজ কখন ছেড়ে যাবে, কখন এসে পৌঁছাবে তা ঘরে বসেই জানতে পারছেন যাত্রীরা।

Loading...

গত ১১ আগস্ট ১২ দফা দাবিতে প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মচারী ফোরাম। তখন এসব দাবি আদায়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল, বিমানবন্দরে রেমিট্যান্সযোদ্ধাসহ যাত্রীকে বিমানবন্দরে কর্মরত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করে। এ লক্ষ্যে আদেশ জারি ও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করে সেবা কার্যক্রম অধিকতর মানবীয় করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছে তারা।

Loading...

বেবিচক চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার লোকেরা যাতে যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার করে, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ‘স্যার বা ম্যাডাম’ বলতেও বলা হয়েছে। কারণ, তাদের রেমিট্যান্সের ওপরই আমাদের দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে টিকে আছে।

আরো পড়ুন

KalerKantho

Loading...

Loading