সিনেমাটির বানাতে নিষেধ করলেন সালমান শাহর মা, কারণ কী?

Loading...

সিনেমাটির বানাতে নিষেধ করলেন সালমান শাহর মা, কারণ কী?

মারা যাওয়ার পরও যে কজন তারকা এখনো ভক্তদের মনে জায়গা করে আছেন তাদের মধ্যে সালমান শাহ অন্যতম।

অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে তৈরি করেছেন অসংখ্য ভক্ত। চার বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন মাত্র ২৭ টি ছবিতে। তার মৃত্যু রহস্য এখনো অজানা।

Loading...

তবে তাকে ঘিরে নানা ধরণের পরিকল্পনা চলে সবসময়ই। এবার সালমার শাহ ও তার স্ত্রী সামিরার প্রেম কাহিনীনিয়ে একটা সিনেমার বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নির্মাতা ছটকু আহমেদ। সেই অনুযায়ী তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপও করেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও শুরু করেছিলেন ছটকু।

কারণ, সালমান-সামিরার একটা সুন্দর প্রেমের গল্প আছে বলে জেনেছিলেন তিনি। এবার সেই প্রেমের গল্পের সিনেমার বাধ সাধেন স্বয়ং সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। তার আপত্তিতে সিনেমাটির নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হয়েছে বলে জানালেন নির্মাতা।

সালমানের মা লন্ডন থেকে টেলিফোন করে সিনেমাটি বানাতে নিষেধ করেছেন বলে জানান ছটকু আহমেদ।
গণমাধ্যমকে ছটকু আহমেদ জানান, ‘২০২০ সালে সোহান (নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান) এই সিনেমাটির উদ্যোগ নিয়েছিল।

কাতারের সব আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে

Loading...

সেই সময় আমি আর সোহান সামিরার সঙ্গে কথা বলে সিনেমার গল্প সাজিয়েছিলাম। তাদের প্রেমকাহিনি অনেক সিনেম্যাটিক। সামিরার মুখে সেই গল্প শুনে আমাদের ভালো লেগেছিল। তখন সেটি আর হয়নি।

এরমধ্যে সোহানও মারা গেলো। সম্প্রতি গল্পটির কথা মনে পড়ে। সালমান ও সোহানের স্মরণে সিনেমাটি তৈরির উদ্যোগ নিই। সামিরার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে আবারও সম্মতি দেয়।

এই খবর পেয়ে কয়েকদিন আগে নীলা চৌধুরী লন্ডন থেকে ফোন করে আমাকে জানান, সালমানকে নিয়ে কোনও সিনেমা বানানো যাবে না। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া আছে তাদের। নীলা চৌধুরীর এ সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সিনেমাটির কাজ স্থগিত করেছি।’

আক্ষেপ করে ছটকু আহমেদ বলেন, ‘এটি সালমানের বায়োপিক নয়; দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমকাহিনি। এই গল্পে নীলা চৌধুরীর তেমন ভূমিকা নেই। এরপরও কেন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। গল্পটি সামিরার।

Loading...

তাই সামিরার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সামিরার সঙ্গে আমার ছবি দেখার পর সালমানের বেশ কয়েকজন ভক্ত গালাগাল করেছে। সব মিলিয়ে এখন আর সিনেমাটি নিয়ে ভাবতে চাইছি না।’

নির্মাতার প্রশ্ন, ‘এই গল্পটা আটকে থাকলে তাদের (সালমানের মা ও ভক্ত) কী উপকার হবে, সেটা বুঝতে পারছি না। ২৮ বছর ধরে হত্যা-আত্মহত্যা নিয়ে যে চিৎকার করা হচ্ছে, তাতেইবা সালমানের কী লাভ হলো?

এই সময়ের মধ্যে তো সালমানের নামে কোনও একটা ইনস্টিটিউট হয়নি, তাকে নিয়ে কোনও বই (সিনেমা) বের হয়নি। তাদের মুখে একটাই গল্প—হত্যা, নাকি আত্মহত্যা?’

বলা দরকার, নায়ক হওয়ার আগেই ভালোবেসে সামিরাকে বিয়ে করেছিলেন সালমান শাহ। চট্টগ্রামের একটি ফ্যাশন শোতে ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই তাদের পরিচয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা, প্রেম; এরপর বিয়ের সিদ্ধান্ত।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে দেখুন চাকরির খবর

Loading...

সামিরাকে বিয়ে করার জন্য আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন সালমান! ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর গোপনে বিয়ে করেন সালমান-সামিরা। তাদের এই প্রেমকাহিনি নিয়েই ‘স্বপ্নের রাজকুমার’ বানাতে চেয়েছিলেন ছটকু আহমেদ।

উল্লেখ্য, সালমান শাহ নামের সিনেমার সেই ধূমকেতুর আলো নিভে যায় ১৯৯৬ সালে। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। তবে সেটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা- এ বিষয়ে প্রশ্ন জারি রয়েছে সালমান ভক্ত ও পরিবারের।

কালের কণ্ঠ

Loading...

Loading