যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধের আদেশ ট্রাম্পের

Loading...

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধের আদেশ ট্রাম্পের

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি খুব দ্রুত আদালতের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। কারণ নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর মতে, জন্মগত নাগরিকত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে সুরক্ষিত। ইস্যুটি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াতে পারে, যেখানে রক্ষণশীল বিচারকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

Loading...

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত বা অস্থায়ী কর্মী, ছাত্র বা পর্যটন ভিসাধারী ব্যক্তির সন্তানদের জন্মগত নাগরিকত্ব বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আদেশ সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওভাল অফিসে নিজের ডেস্কে বসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন দমনের উদ্দেশ্যে একাধিক নির্বাহী আদেশ ও ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন। জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞা পরিবর্তন থেকে শুরু করে সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন দমন করতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।

Loading...

নির্বাহী আদেশের বিস্তারিত এখনো জানা না গেলেও কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ট্রাম্প জন্মগত নাগরিকত্বের অবসান ঘটানোর পরিকল্পনা করছেন। এর মানে হল, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর মার্কিন নাগরিক বলে বিবেচিত হবে না।

জন্মগত নাগরিকত্ব মার্কিন সংবিধানে সুরক্ষিত, এবং এটি পরিবর্তন করতে কংগ্রেসের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। ট্রাম্প এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা নিয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।

‘আমেরিকান নাগরিকত্বের অর্থ ও মূল্য সুরক্ষা’ শীর্ষক এই আদেশে বলা হয়েছে, তার প্রশাসন আর স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব স্বীকার করবে না যদি অভিভাবকরা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং তাদের কেউ নাগরিক না হন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, তবে তা কার্যকর করেননি।

Loading...

এই আদেশ দেশটিতে অস্থায়ী কর্মী, ছাত্র বা পর্যটন ভিসাধারী ব্যক্তির সন্তানদেরও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেবে।

এই নীতি বাস্তবায়িত হলে নাগরিকত্বের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত ব্যক্তির প্রয়োজনীয় নথি, যেমন পাসপোর্ট প্রত্যাখ্যান করবে প্রশাসন। শিশুদের নাগরিকত্বের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হলে স্থানীয় বা অঙ্গরাজ্য সরকার থেকে প্রদত্ত নথিগুলোও গ্রহণ করা হবে না।

তবে এই প্রক্রিয়ায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি, স্থানীয় বা অঙ্গরাজ্য সরকার, বা ফেডারেল কর্মকর্তারা— কোন কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের আইনগত নথি পর্যালোচনা করবেন তা এখনো পরিষ্কার করেনি প্রশাসন।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি খুব দ্রুত আদালতের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। কারণ নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর মতে, জন্মগত নাগরিকত্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে সুরক্ষিত। ইস্যুটি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াতে পারে, যেখানে রক্ষণশীল বিচারকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

Loading...

যখন একজন প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন যে আদালত নির্বাহী আদেশটিকে অসাংবিধানিক বলতে পারে কিনা— এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, হতে পারে। আমার মনে হয় আমাদের অবস্থানের পক্ষে ভালো ভিত্তি রয়েছে, তবে আপনিও ঠিক হতে পারেন। আমরা দেখব।

এটা হাস্যকর… কয়েক দশক ধরেই মানুষ এটি ( জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল) করতে চেয়েছে।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যা জন্মগত নাগরিকত্ব দেয়। প্রকৃতপক্ষে, কানাডা, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশসহ ৩০টিরও বেশি দেশ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রদান করে।

আরও খবর

বণিক বার্তা

Loading...

Loading