আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
Loading...

আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
২০১২ সাল থেকে একটি পুঞ্জীভূত সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম
বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
তিনি বলেন, “আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে চলে গিয়েছিল, এ সম্পর্ক ভালো করতে কমপ্রিহেনসিভ আলোচনা শুরু করেছে সরকার। আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।”
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “দুবাইয়ে গভর্নমেন্ট সামিট প্রতিবছর হয়। এ উপলক্ষে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দেড় দিনব্যাপী সফর ছিল। ওই সফরে তিনি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী। আমিরাতের সঙ্গে আমাদের ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা চলছে। আমিরাতে আমাদের ভিসা রেস্ট্রিকশন (নিষেধাজ্ঞা) আছে। এটা বহু বছরের একটা পুরনো সমস্যা। ২০১২ সাল থেকে একটি পুঞ্জীভূত সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের যারা জাহাজের ক্রু, তারা ভিসা পাচ্ছেন না। সবার জন্য ভিসা একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
পাসপোর্ট থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
তিনি বলেন, “গভর্নমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন আমিরাতের মন্ত্রীদের বৈঠক হয়, তখন তিনি বারবার বিষয়টি উঠিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে সিরিয়াস আলাপ হয়েছে। এই আলাপগুলো সামনে আরও অব্যাহত থাকবে।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “এ আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আমরা নতুন করে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ করছি। ওদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে কম্প্রিহেনসিভ ডায়ালগ হয়েছে। এর ফলে কয়েকটি বিষয় হবে— আমিরাত থেকে বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে। এছাড়া আমাদের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেটা দ্রুত উঠে যাবে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে অনেক বাংলাদেশি বিশেষ করে দক্ষ শ্রমিকরা সেখানে চাকরি পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ বিষয়টি দেখার জন্য অধ্যাপক ইউনূস তার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীকে নিযুক্ত করেছেন। তিনি সেখানকার চার-পাঁচজন মন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত কথাবার্তা বলেছেন। কথাবার্তা বলার পর আমিরাত এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে সিরিয়াস।”
Loading...
তিনি আরও বলেন, “আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। সেখান থেকে সম্পর্ক (বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা) উন্নতির দিকে যাবে। বিশেষ করে আমাদের জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।”
আরও খবর
Loading...
