মৃত্যুর ২ মাস পর দেশে এলো প্রবাসীর মরদেহ
Loading...

মৃত্যুর ২ মাস পর দেশে এলো প্রবাসীর মরদেহ
নিজ মাতৃভুমি ছেড়ে মেসিডোনিয়ায় কাজ করতে গিয়ে মৃত্যুর ২ মাস পর রুহুল আমিন (৩৩) নামে এক যুবকের মরদেহ পেয়েছেন তার স্বজনরা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে একটি লাশবাহী গাড়ি তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
মেসিডোনিয়ায় সড়ক দুর্ঘনায় মারা যাওয়া ওই প্রবাসী পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের। তিনি ওই এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯টায় রুহুল আমিনের জানাজা নামাজের শেষে এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২৫ জানুয়ারি মাইক্রো ড্রাইভার হিসেবে কাজ করার জন্য পাড়ি জমান মেসিডানিয়ায়। তিনি দেশে দীর্ঘ ১৫ বছর মাইক্রোবাসের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেছেন। অভাবের সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য নিজের বাড়ি ভিটা বাদে সব জমি বিক্রি করে ১২ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যান। কিন্তু কে জানতো সেখান থেকে ভাগ্য পরিবর্তন না হয়ে, ফিরতে হবে মরদেহ হয়ে।
বিদেশ যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় তার মৃত্যুর খবর আসে। তার পরিবার মরদেহ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পর মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই কেটে গেছে প্রায় ২ মাস।
বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুহুল আমিনের বাড়িতে গর্ভবতী স্ত্রী, তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২ মাস আগে ১২ লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন রুহুল আমিন। বিদেশে কাজ শুরু করার পর একমাসের বেতনের টাকা তোলার সুযোগও হয়নি।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
স্থানীয়রা বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পুরো ২ মাস পরিবারে শোকের মাতম চলছে। মরদেহ পাওয়াতে শোক বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়েছিল। শত বাধা বিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মরদেহ দেশে আনা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু মুসা বলেন, বিদেশে থেকে মরদেহ আসার পর থেকেই সার্বক্ষুণিক অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। ঘটনাটি হৃদয়বিদারক।
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
আরও খবর
Loading...
