বিশ্বের দীর্ঘতম ফ্লাইটে কত সময় লাগে

Loading...

বিশ্বের দীর্ঘতম ফ্লাইটে কত সময় লাগে

তুমি যদি এশিয়া থেকে ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় ঘুরতে যাও, তাহলে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সময়ের ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে পারবে। প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরজুড়ে যে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের রুটগুলো আছে, সেগুলো পাড়ি দিতে প্রায় ১০ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় লাগে। কিন্তু বিশ্বের দীর্ঘতম ফ্লাইট কোনটি?

কত সময় লাগে এই রুটে পাড়ি দিতে? এখানে পৃথিবীর সেরা ৫টি দীর্ঘতম ফ্লাইট নিয়ে আলোচনা করব। তবে বলে রাখা ভালো, দীর্ঘতম ফ্লাইট দূরত্বের হিসাবে নয়, বরং সময়ের হিসাবে করা হয়েছে।

১. নিউইয়র্ক থেকে সিঙ্গাপুর

নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট পর্যন্ত চলে পৃথিবীর দীর্ঘতম বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এই রুটের দূরত্ব প্রায় ১৫ হাজার ২৮৯ কিলোমিটার। পৌঁছাতে সময় লাগে ১৮ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

তবে নিউইয়র্কের নিউ জার্সির পাশে যে বিমানবন্দরটি আছে, সেখান থেকে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় একই দূরত্ব। অল্প কিছু কম হতে পারে।

২. সান ফ্রান্সিসকো থেকে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো থেকে ভারতের বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের দূরত্ব ১৫ হাজার ৬১০ কিলোমিটার। নিঃসন্দেহে ১ নম্বরে থাকা রুটের চেয়ে এই রুটের দূরত্ব বেশি। কিন্তু আগেই বলেছি, দূরত্বের হিসাবে এই ক্রম সাজানো হয়নি, হয়েছে সময়ের হিসাবে।

নিউইয়র্ক থেকে সিঙ্গাপুর যেতে যেখানে ১৮ ঘণ্টা ৪০ মিনিট লাগে, সেখানে সান ফ্রান্সিসকো থেকে ভারতে যেতে ‘বোয়িং ৭৭৭’ বিমানের লাগে ১৭ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট।

৩. নিউজিল্যান্ড থেকে কাতার

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে কাতারের দোহা বিমানবন্দর পর্যন্ত দূরত্ব ১৪ হাজার ৫২৬ কিলোমিটার। এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০ বিমানে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে লাগে সময় লাগে সাড়ে ১৭ ঘণ্টা।

৪. অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়ার পার্থ এয়ারপোর্ট থেকে ইংল্যান্ডের লন্ডনের হিথরো এয়ারপোর্টের দূরত্ব ১৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তাপ থেকে বাঁচতে যদি ইংল্যান্ডে যেতে চান, তাহলে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা লাগবে।

এয়ারওয়েজ বোয়িং ৭৮৭-৯ আপনাকে মোটামুটি দেড় দিনের মধ্যে ইংল্যান্ডে পৌঁছে দেবে।

৫. টেক্সাস থেকে মেলবোর্ন

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ এয়ারপোর্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পৌঁছাতেও প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে। এই দুই দেশের এয়ারপোর্টের মধ্যবর্তী দূরত্ব ১৪ হাজার ৪৬৮ কিলোমিটার। আসলে তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানের সব কটি রুটের দূরত্ব প্রায় একই রকম।

তাই সেখানে মোটামুটি সাড়ে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায়। এই তালিকার তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থান আসলে একই। শুধু তালিকার সুবিধার কারণে পরপর রাখা হয়েছে। এই জায়গাগুলোতে ভ্রমণে সময় প্রায় একই লাগে। একটু এদিক-সেদিক হতে পারে মাঝেমধ্যে।

আরো পড়ুন-

Kishor Alo

Loading...

Loading