নেতানিয়াহু কেন কাতারের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন

Loading...

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানির কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সময় ও বার্তার দিক থেকে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন

Loading...

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে পৌঁছালে ট্রাম্প নিজ উদ্যোগে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃতীয়বারে ফোন রিসিভ হওয়ার পর ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে আল থানির সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন।

এ সময় নেতানিয়াহু ইসরাইলের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দখলদার শক্তির পক্ষ থেকে এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা একেবারেই বিরল।

কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর

Loading...

ঘটনার পেছনে রয়েছে দোহায় সংঘটিত এক হামলা। কয়েক দিন আগে হামাসের প্রতিনিধি দলকে লক্ষ্য করে কাতারের রাজধানীতে ইসরাইলি হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যদিও প্রতিনিধি দলের কেউ প্রাণ হারাননি। এতে কাতারেরও একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন।

কাতার এটিকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেয় এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। এরপরই দোহা স্পষ্ট করে জানায়, ইসরাইল ক্ষমা না চাইলে তারা মধ্যস্থতায় আর ফিরবে না।

ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে

Loading...

ফলে ট্রাম্পের চাপে ও কাতারের শর্ত মেনে নেতানিয়াহু ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। তবে এ দুঃখপ্রকাশের বিষয়টি এখনো ইসরাইলি মন্ত্রীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি তিনি।

বিশ্লেষকদের মতে, দোহায় হামলার মাত্র ২০ দিন পরই নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের বেশিরভাগ শর্ত মানতে রাজি হয়েছেন। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলোও বিষয়টিকে বড় করে প্রচার করেছে।

Loading...

এটি নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবনে তৃতীয়বারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা। এর আগে হামাস নেতা খালেদ মিশালের ওপর মোসাদের হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর জর্ডানের প্রয়াত রাজা হুসেইনের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল তাকে।

পরবর্তীতে গাজা অবরোধ ভাঙার জন্য পাঠানো মাভি মারমারা জাহাজে ইসরাইলি হামলার ঘটনায়ও তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

Loading...

তবে বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের কাছে নেতানিয়াহুর এই দ্রুত দুঃখপ্রকাশ এরদোগান বা অন্যদের কাছে দুঃখপ্রকাশের চেয়ে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি শুধু তার কূটনৈতিক দুর্বলতা নয়, বরং গাজা যুদ্ধের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার ওপরও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন

Loading...

Loading