ওয়েব ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
Loading...

ওয়েব ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স এবং মাইক্রোসফট এজের মতো জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলো ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ ও অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সিঙ্ক করার সুবিধা দেয়।
এর ফলে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ডিভাইসে সহজেই লগইন করতে পারেন। তবে সুবিধাজনক এই ব্যবস্থার পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তাঝুঁকিও রয়েছে, যা সম্পর্কে সচেতন না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
Loading...
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাউজারে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের ঝুঁকি মূলত দুই দিক থেকে আসে। প্রথমত, ডিভাইসভিত্তিক ঝুঁকি—অর্থাৎ আপনার ব্যবহৃত কম্পিউটার বা ফোনে পাসওয়ার্ড কীভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে এবং অন্য কেউ তা দেখতে বা ব্যবহার করতে পারছে কি না।
উদাহরণস্বরূপ, উইন্ডোজ কম্পিউটারে ক্রোম ব্যবহার করলে কোনো ব্যবহারকারী সঠিক অনুমতি ছাড়াই সংরক্ষিত পাসওয়ার্ড দেখতে পারে। যদিও আধুনিক স্মার্টফোনে বায়োমেট্রিক বা পাসকোড সুরক্ষা থাকায় তুলনামূলক নিরাপত্তা কিছুটা বেশি।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
Loading...
দ্বিতীয়ত, অ্যাকাউন্টভিত্তিক ঝুঁকি—অর্থাৎ আপনার গুগল, অ্যাপল বা মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে সব সিঙ্ক করা পাসওয়ার্ড একসঙ্গে ফাঁস হতে পারে। সাইবার অপরাধীরা প্রায়ই ব্যবহারকারীদের একই পাসওয়ার্ড ব্যবহারের অভ্যাসের সুযোগ নেয়। ফলে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য ফাঁস হলে অন্য অ্যাকাউন্টগুলোতেও প্রবেশ করা সহজ হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক সতর্কতা মানলে নিরাপত্তা অনেক বেড়ে যায়। প্রথমত, প্রতিটি ডিভাইস ও ব্রাউজার অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
পাসওয়ার্ড মনে রাখতে “পাস-সেন্টেন্স” পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে—অর্থাৎ একটি অর্থপূর্ণ বাক্য বা শব্দগুচ্ছ থেকে কিছু অক্ষর বা চিহ্ন বদলে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করা। যেমন: 2005icecre@misdelicious!
ফেসবুকে আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন এখানে
Loading...
এছাড়া যেখানে সম্ভব বায়োমেট্রিক লগইন, দ্রুত অটো-লক এবং দুই স্তরের যাচাইকরণ (টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন বা 2FA) সক্রিয় রাখা উচিত। টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সক্রিয় থাকলে কোনো পাসওয়ার্ড চুরি হলেও তা দিয়ে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
আরও উন্নত সুরক্ষার জন্য তৃতীয় পক্ষের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার যেমন বিটওয়ার্ডেন, ওয়ানপাসওয়ার্ড, বা লাস্টপাস ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসব ম্যানেজারে থাকা তথ্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড থাকে এবং মাস্টার পাসওয়ার্ডটি ডিভাইস লগইনের থেকে আলাদা হয়। তবে এসব সেবার জন্য সাধারণত মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয়, যা সব ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাজনক নাও হতে পারে।
Loading...
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হয়, তবে একটি নির্ভরযোগ্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে বিনিয়োগ করাই সর্বোত্তম। তবে খরচ সীমিত হলে ব্রাউজারভিত্তিক পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও সঠিক সতর্কতা ও ভালো অভ্যাস বজায় রাখলেই যথেষ্ট নিরাপদ থাকা সম্ভব।
আরো পড়ুন
Loading...






