বাংলাদেশের কাছে কাতারসহ কয়েকটি দেশের পাওনা ৬০৭ মিলিয়ন ডলার

Loading...

বাংলাদেশের কাছে কাতারসহ কয়েকটি দেশের পাওনা ৬০৭ মিলিয়ন ডলার

বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাবদ কাতার, ওমানসহ কয়েকটি দেশ ও কোম্পানির কাছে গ্যাসের বিনিময়ে বাংলাদেশের বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০৭ মিলিয়ন ডলার।

জ্বালানি বিভাগের তথ্য বলছে, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে আনা এলএনজির বিল ছাড়াও স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা এলএনজির জুলাই-আগস্টের বিলও বকেয়া রয়েছে।

Loading...

৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলএনজি আমদানির বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৬৩৩ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১০ সেপ্টেম্বর ২৫.৬১ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে সরকার। এতে বকেয়া কমে ৬০৭.৩৫ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

কাতারের সব আপডেট পেতে জয়েন করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমান থেকে এলএনজি আমদানি করে বাংলাদেশ। ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাতার এনার্জির বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৪ মিলিয়ন ডলার ও ওমান ওকিউটির বকেয়া দাঁড়ায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ১০ সেপ্টেম্বর সরকার কাতার এনার্জিকে ৬.১৯ মিলিয়ন ডলার ও ওমানকে ৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।

Loading...

কর্মকর্তারা জানান, ডলার সরবরাহের মাধ্যমে এসব বকেয়া বিল দ্রুত পরিশোধ করার ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে জ্বালানি বিভাগ।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে দেখুন চাকরির খবর

বর্তমানে দেশে গ্যাসের সংকট বেড়েছে। ডলার সংকটের কারণে এলএনজি আমদানির বকেয়া বাড়ার কারণ ছাড়াও ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক না হওয়ার কারণে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন আটকে ছিল।

Loading...

এদিকে গ্যাস সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটও প্রকট রূপ ধারণ করছে। কারণ, অনেক প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঠিকমতো পরিচালনা করা যাচ্ছে না।

জ্বালানি বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বকেয়ার পরিমাণ বেশি থাকায় গত ২ সেপ্টেম্বর ও ৯ সেপ্টেম্বর দুই কার্গো এলএনজি খালাস না করে সরবরাহকারী দেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। জ্বালানি বিভাগ জরুরিভাবে অনুরোধ করে তা খালাস করার ব্যবস্থা করেছে।’

কাতারে রিয়াল রেট ও স্বর্ণের দাম দেখে নিন

ওই কর্মকর্তা জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলন তীব্রতর হলে জুলাই ও আগস্টের শুরুতে ব্যাংক ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিদেশের সঙ্গে লেনদেন করা সম্ভব হয়নি। ফলে বকেয়ার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। বর্তমানে বকেয়া দায় পরিশোধের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন কোম্পানি শেভনের সরবরাহ করা গ্যাসের বিল বাবদ ২২৪.৮২ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। পরদিন কোম্পানিটিকে সর্বশেষ ৩.৪২ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। ফলে শেভরনের বকেয়া দাঁড়িয়েছে ২২১.৪০ মিলিয়ন ডলার।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত শেভরনের মোট সাতটি বিল বকেয়া পড়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বকেয়া অর্থ পরিশোধ করার অনুরোধ করেছেন শেভরনের কর্মকর্তারা।

এছাড়া ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি) থেকে ঋণ নিয়ে কাতার এনার্জির দুটি বিল গত মে ও জুলাই মাসে পরিশোধ করে জ্বালানি বিভাগ। মে মাসে আইটিএফসির সেই ঋণের একটি কিস্তিও বকেয়া পড়েছে।

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া, গানভর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড ও এক্সেলারেট এনার্জির মাধ্যমে গ্যাস কিনেছে জ্বালানি বিভাগ। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা গ্যাসের ৮৭.২০ মিলিয়ন ডলার এখনও বকেয়া রয়েছে।

দৈনিক ইত্তেফাক ও অন্যান্য গণমাধ্যম

Loading...

Loading