একাধিক পরকীয়ার চরম পরিণতি প্রবাসীর স্ত্রীর
Loading...
একাধিক পরকীয়ার চরম পরিণতি প্রবাসীর স্ত্রীর
একাধিক পরকীয়ার চরম পরিণতি ভোগ করতে হলো সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তারের। একাধিক পরকীয়ার পর সর্বশেষ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রেমিক মাহাদী হাসানের হাতে জীবন দিতে হলো তাকে। পরিকল্পিতভাবে দুই হাতে সার্জিক্যাল গ্লাভস পরে শ্বাসরোধ করে তানিয়াকে হত্যা করেন মাহাদী।
কাতারে বিভিন্ন কোম্পানিতে নতুন চাকরির খবর
হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় প্রেমিককে মাহাদী হাসানকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সাভার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিংগাইর থানা পুলিশ। শুক্রবার আসামি মাহাদী হাসানকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
Loading...
গ্রেফতারকৃত মাহাদী হাসান কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার কৌতেরকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে রিয়াদ উল জান্নাত দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে সিংগাইর থানার বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী দেওয়ান ফাহাদের (২৮) স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে বাথরুমের ভিতরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই প্রেমিক।
এ ঘটনায় তানিয়া আক্তারের পিতা মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আব্দুল ওয়ারেস শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মামলার পর ক্লুলেস এ হত্যার আসামিকে ধরতে
কাতারের সব আপডেট হোয়াটসঅ্যাপে পেতে এখানে ক্লিক করুন
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদের (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুজন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায় তিন দিনের মাথায় আসামি হাসানকে (৩১) সাভার থেকে গ্রেফতার করে সিংগাইর থানা পুলিশ।
Loading...
সিংগাইর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি.) মো. মাসুদুর রহমানের একটি টিম আসামিকে গ্রেফতার করে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাদী হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, তানিয়া আক্তারের সঙ্গে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে কথা হয় এবং পরবর্তীতে তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
Loading...
বিষয়টি তানিয়ার পরিবার জেনে যাওয়ার পর ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে আসামি মাহাদীর কর্মস্থল রিয়াদ উল জান্নাত দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসায় একত্রিত হয়ে ভবিষ্যতে তারা পরকীয়া করবে না মর্মে কথা দিলেও তাদের প্রেম অব্যাহত রাখে।
পুলিশের কাছে আসামি মাহাদী হাসান জানান, তানিয়া আরও একাধিক পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয় এবং তানিয়াকে একাধিক পরকীয়া হতে বিরত থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু তানিয়া মাহাদীসহ একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া অব্যাহত রাখে।
Loading...
তিনি জানান, এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাহাদী। খুনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাভারের হেমায়েতপুরের একটি দোকান থেকে হতে সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস সংগ্রহ করেন।
ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে প্রেমিক মাহাদী হাসানের জন্মদিনের কেক নিয়ে প্রেমিক তানিয়ার স্বামীর বাড়িতে আসেন।
Loading...
তানিয়ার স্বামীর বসতঘরের পেছনের বাথরুমে মাহাদী পরিকল্পিতভাবে সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস পরা দুই হাত দিয়ে তানিয়া আক্তারের গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
Loading...