বাংলাদেশি সি ফুড: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল কাতার

বাংলাদেশ থেকে সি ফুড আমদানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে কাতার। বিশ্বকাপ ফুটবলের আগে সতর্কতার অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

কাতারে চাকরি খুঁজছেন? এখানে ক্লিক করুন

সূত্র জানায়, আপাতত বাংলাদেশি ফিশ, শ্রিম্প, মুসেল, অয়স্টার ও স্কুইড আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে কাতার অভিমুখে এসব পণ্যের চালান পাঠানো শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, চিলড বা স্বল্পমেয়াদে হিমায়িত সি ফুডে নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রেখেছে কাতার। এ বিষয়ে পর্যালোচনার পর দোহা থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

কাতারের সব খবর হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে বিভিন্ন পণ্যের মান পরীক্ষণের পর কাতার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি সি ফুডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের পণ্যও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ বাজারটিতে রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের মৎস্য ও সামুদ্রিক খাদ্য ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

বিশ্বকাপের বাজার ধরতে গেলে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারত খাত-সংশ্লিষ্টরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬৯৫টি চালানে কাতারে মোট ১ হাজার ৭০০ টন মাছ ও সমজাতের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

সে বছর বাংলাদেশ কাতারে মোট ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে ফিশারিজ খাতের পণ্য ছিল ২৩ লাখ ডলারের সামান্য বেশি।

আরো পড়ুন

24livenewspaper

Loading...
,